"জীবনে দুইটা ট্রাজেডী আছে । একটা মনের ইচ্ছা পূর্ণ না হওয়া এবং অপরটা অনেক কষ্টের পর তা পূর্ণ হওয়া "। কোন কাজের ক্ষেত্রে যদি দুইটা ট্রাজেডী একসাথে ঘটে তাহলে কষ্ট হলেও শেষমেষ সফল হওয়া যায় । আমার লেখাটার ক্ষেত্রেও যেন তেমনটি ঘটে। অনেক জল্পনা-কল্পনা, অপেক্ষার পর আমি লিখতে যাচ্ছি আমার মেমসাহেব । নিমাই ভট্টাচার্য মেমসাহেব লিখেছিলেন ১৩৭৩ বঙ্গাব্দের শ্রাবণে আর আমি লিখছি ২৩ কার্তিক ১৪১৬ , চল্লিশ বছর পর । আমার লেখাটা আসল 'মেমসাহেব' উপন্যাসের সিক্যুয়াল বলা যেতে পারে। আমি আমার উপন্যাসের নামের শিরোনামে 'আমার 'শব্দটা যোগ করেছি। প্রথম আলোর ছুটির দিনে প্রকাশিত ঢাকা ভার্সিটির এক মেয়ের লেখার কথা মনে পড়ে গেল । তার লেখার শিরোনাম ছিল আমার চে । সে তার প্রেমিকের কথা তার লেখায় লিখেছিল ।সে তার প্রেমিককে চে গুয়েভারার সাথে তুলনা করেছিল। তাই তার লেখার শিরোনাম ছিল আমার চে। সে বেশ আগের কথা। তখন থেকেই আমার মাথায় চিন্তা ছিল আমি ও আমার প্রিয় কাঊকে নিয়ে লিখব। তাই আমিও আমার মেম সাহেবকে নিয়ে লেখা শুরু করলাম। মেম সাহেব আমার বাস্তবের মেম সাহেব না। সে আমার সাহিত্যের মেমসাহেব, আমার লেখার কাঁচামাল। সে হয়তো আমার লেখার পাঠক ও হবে একদিন। সে যদি কোনদিন আমার লেখার পাঠক হয় তবে তার উদ্দেশ্যে আমি বলবো তুমি আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখো। তাহলে আমার লেখা অনেক সুন্দর হবে এবং লেখাটা অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারব। আমার লেখার বিষয়বস্তু মেমসাহেব যদি ভবিষ্যতে আমার বাস্তবের মেমসাহেব নাও হয় তাহলেও আমার দুঃখ নেই । আমার লেখা বেঁচে থাকবে আমার কাছে, পাঠকের মাঝে আজীবন।